Bangladesh

Three people does not have licence for bus driving

Three people does not have licence for bus driving

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 31 Jul 2018, 11:39 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, আগস্ট ১ : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের র‌্যাডিসন হোটেলের উল্টোপাশে দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেওয়া সেই বাসচালক মাসুম বিল্লাহর বড় গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না।

হালকা যান প্রাইভেটকার ও ছোট মাইক্রোবাস চালনার জন্য লাইসেন্স নিয়ে তিনি বাস চালিয়ে আসছিলেন। র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর প্রাুথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা জানান মাসুম বিল্লাহ। যাত্রী ওঠানোর জন্য প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের চাপা দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।


এদিকে, হালকা যানের লাইসেন্স থাকার পরও বড় বাস চালানোর জন্য চালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে এই বাস কোম্পানির চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ পরিচালকরাও অভিযুক্ত হতে পারেন। তারা জেনে-শুনেই প্রাইভেটকারচালকের হাতে বড় বাস তুলে দিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।


র‌্যাব সূত্র জানায়, দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় যে তিনটি বাসের প্রতিযোগিতা করেছিল সেই অপর দুটি বাসের চালক সোহাগ ও জুবায়েরের লাইসেন্সও হালকা যানের। এই লাইসেন্স দিয়ে তাদের বাস চালানোর কথা ছিল না। সোহাগ ও জুবায়েরও আগে বাসের চালকের সহযোগী ছিল। পর্যায়ক্রমে তারাও হালকা যানের লাইসেন্স হাতে পেয়ে বাস চালানো শুরু করে।


র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, তিনটি বাসের মধ্যে মিরপুরের কালশী থেকে প্রথমে ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ নম্বরের বাসটি নিয়ে ফ্লাইওভার পার হয়ে আসে চালক জুবায়ের। ফ্লাইওভার শেষ মাথাতেই সে বাসটিকে কিছুটা আড়াআড়ি করে রেখে যাত্রী তুলছিল। তার পেছনে পেছনেই বাস নিয়ে আসছিল মাসুম বিল্লাহ ও সোহাগ। সোহাগের ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৫৮০ বাসটির আগে যাবার জন্য মাসুম তার ঢাকা মেট্রো ব-১১-৯২৯৭ বাসটি নিয়ে জুবায়েরের বাসের আগে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতেই সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়।


এদিকে সোমবার দুই বাসচালক সোহাগ ও জুবায়ের এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে পুলিশে সোপর্দ করার পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই  রিয়াদ আহমেদ মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম এইচ এম তোহার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। কিন্তু আদালত শুনানির জন্য আগামী ৬ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।