Bangladesh
They have no religion, they are demons of terrorism, says Bangladesh Minister
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেুৃত্বে অসাম্প্রদায়িক সরকার কাজ করছে। শেখ হাসিনার পাশে সম্মিলিতভাবে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ সেবাশ্রম ফাউন্ডেশনের ১১তম বার্ষিক ধর্মীয় সম্মেলন ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সেবাশ্রম ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার। শেখ হাসিনার সরকার হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, খ্রিষ্টানের অধিকার প্রতিষ্ঠার সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানের দেশ। এ দেশ কোনো একক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দেশ নয়। এ দেশের সব ধর্মাবলম্বী সব অধিকার ভোগ করবে, এটাই আমাদের সংবিধানের কথা।’
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর রাষ্ট্র ক্ষমুা দখল করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে আবার খান এ সবুর, শাহ আজিজ, মওলানা আব্দুল মান্নান, এদেরকে রাজনীতিতে নিয়ে আসলেন। জামায়াতে ইসলামকে মাওলানা আব্দুর রহিমের নেুৃত্বে আবার বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিলেন। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদকে বাতিল করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালুর ব্যবস্থা করলেন। মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল আলিমসহ স্বাধীনুাবিরোধী চিহ্নিত রাজাকার খুনিদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। আবার কারো কারো গাড়িতে বাংলাদেশের পপুাকা উড়িয়ে জাতিকে, ৩০ লাখ শহীদকে অপমানিু করা হয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেুৃত্বে আবার সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শেখ হাসিনা সরকার সব ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বর্ণালী অধ্যায় গৃষ্টি করেছে। আজকে দেশে মুসলিম সম্প্রদায়, হিন্দু সম্প্রদায়, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার জন্য রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
জঙ্গিদের আমরা নিভৃত করতে পেরেছি কিন্তু নিঃশেষ করতে পারিনি উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘অধিকাংশ জঙ্গিরা হচ্ছে স্বাধীনুাবিরোধী সাম্প্রদায়িক প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী। তাদের বিরুদ্ধে সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ মিলে সোচ্চার হতে হবে। তাহলেই আমাদের ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত স্বার্থক হবে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম স্বার্থক হবে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য সাধনা সফল হবে।’
