Bangladesh

Teesta water flowing over danger mark
Wikimedia Commons

Teesta water flowing over danger mark

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 12 Jul 2019, 11:48 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ১২ : গর্জে উঠছে তিস্তা নদী। উথালপাতাল ঢেউ আর শোঁ শোঁ শব্দ নদীর পাড় কাঁপিয়ে তুলছে তিস্তা। বৃহস্পতিবার জেলার ডিমলা উপজেলায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমর ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে নদীর পানি ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।

এতে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার নদীতীরবর্তী ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চর ও চর বেষ্টিত গ্রামে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।


নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ওপারে গোজলডোবা তিস্তা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়ায় ভারত তাদের অংশে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। এতে করে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।


এদিকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী বানপাড়ায় স্রোতের আঘাতে ডান তীর গ্রামরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় ওই এলাকার দুই হাজার পরিবার ও ডিমলা উপজেলার চরখরিবাড়ি এলাকার স্বেচ্ছাশ্রম বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। এতে ওই চরে বসবাস করা দুই হাজার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।


ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যাপূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। এ সময় বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২টায় বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে চলে যায়। এরপর বিকেল ৩টায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, বিকেল ৬টায় আরও ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।


পাউবো সূত্র জানায়, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে প্লাবিত হয় তিস্তা ব্যারাজের উজান ও ভাটির চর ও নদীতীরবর্তী গ্রাম গুলো। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা জানান, তিস্তার বন্যায় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছচাঁপানী, ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী, কৈমারীসহ ১০ ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার ১৫টি চর ও গ্রাম তিস্তার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ওই সকল এলাকায় বসবাসকারীদের নিরপদে উঁচু স্থানে সরে থাকার জন্য বলা হয়েছে।


এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী বানপাড়ায় ডান তীর গ্রামরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা মনির উদ্দিনের ছেলে আশরাফ আলী ও দিদার রহমান বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে খুবেই ভয়ের মধ্যে আছি। এই বাঁধ ভেঙে শুধু এই বানপাড়া নয়, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের ২০ হাজারেরও বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি তিস্তা নদীতে পরিণত হবে। আমরা নিজেরাই বাঁশ ও কাঠ ফেলে বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টা করছি।