Bangladesh
Student killed in BUYET: 9 arrested
তার শরীরে পিটানোর মতো বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। রোববার (৬ অক্টোবর) দিনগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ফেইসবুকে ভারত বিরোধী মন্তব্য করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন ফাহাদের জানান, এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ঢামেকে বুয়েটের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুক এলাহী সাংবাদিকদের বলেন, অন্য ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। তার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে বিষয়টি বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জানানো হয়।
সকালের দিকে প্রথম দফায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। তারা দুজনেই বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আরও সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আটকদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল জিয়ন, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, যন্ত্রকৌশল বিভাগের তানভীরুল আবেদিন ইথান, রবিন, মুন্না ও জেমি রয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত ব্র্যাককর্মী বরকত উল্লাহ-রোকেয়া দম্পতির বড় ছেলে আবরার ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে তিনি বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগে ভর্তি হন।
গত ৫ অক্টোবর ফেইসবুকে দেওয়া সর্বশেষ পোস্টে তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তির সমলোচনা করেন। এর আগেও ফেইসবুকে তার বিভিন্ন পোস্টের কারণেই তাকে শিবির বলে সন্দেহ করা হয় এবং সে কারণেই তাকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করা হয় বলে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
সূত্র জানায়, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।
