Bangladesh
Stay home to win war against COVID 19: Hasina
হাসিনা দেশের পরিস্থিতিকে 'যুদ্ধের' সাথে তুলনা করে মানুষকে সরকারের প্রচেষ্টায় আস্থা রেখে, আতঙ্কিত না হয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসরণ করে সুরক্ষিত থাকতে াহবান করেছেন।
“করোনাভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ," হাসিনা বলেন।
"এ যুদ্ধে আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা। আমরা সকলের প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব," উনি বলেন।
এই রোগকে এক থেকে অন্যের মধ্যে সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহণ বন্ধ করেছে বাংলাদেশ।
দেশ অবরুদ্ধ হয়ে গেলেও, এই পদক্ষেপেকেই সকল দেশ এই মুহূর্তুরতেভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জনু উচিৎ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছে।
“যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন এবং অন্যান্য ধর্মের ভাইবোনদেরও ঘরে বসে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি," প্রধানমন্ত্রী বলেন।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই মুহূর্তে ২১ দিনের টানা 'লক ডাউন' চলছে।
আজকের এই ভাষণে হাসিনা জানান যে বিপর্যস্ত গরিব মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি নেবে সরকার।
পাশাপাশি রপ্তানি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের নেত্রী।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস আজ সারাবিশ্বে মহামারী রূপ ধারণ করেছে।
এই রোগের ফলে দুনিয়াতে ১৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখের বেশি মানুষ।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন এই রোগে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯।
“আমি জানি আপনারা এক ধরনের আতঙ্ক ও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যাদের আত্মীয়স্বজন বিদেশে রয়েছেন, তারাও নিকটজনদের জন্য উদ্বিগ্ন রয়েছেন। আমি সকলের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি," নেত্রী বলেন।
“কিন্তু এই সঙ্কটময় সময়ে আমাদের ধৈর্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে," উনি বলেন।
আশার কথা জানিয়ে হাসিনা বলেনঃ "করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন।"
তবে, উনি মনে করিয়ে দেন যে আগে থেকেই নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে।
তাই উনি বাড়ির সব থেকে সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
গুজবে কান না দিতে আহ্বান করে উনি বলেনঃ “বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সঙ্গে সরবরাহ চেইন অটুট রয়েছে।"
“অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবেন না। জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না। সর্বত্র বাজার মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে," উনি বলেন।
