Bangladesh
Sinha case: Liyaqat's interrogated
রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া শুরু করেন। বিকেল ৫টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে লিয়াকতকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
আদালত সূত্র জানায়, তৃতীয় দফায় শুক্রবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় মামলার প্রধান আসামি লিয়াকতকে রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে আনা হয়। সেখানে তার জবানবন্দি নেয়া হয়। জবানবন্দি গ্রহণের আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে লিয়াকতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার আদালতে হাজির করা হলে তৃতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে লিয়াকতকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘সিনহা হত্যা মামলায় লিয়াকত আলী রোববার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে অনেক কিছু স্বীকার করেছিলেন লিয়াকত; আশা করছি আদালতে সেসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি’।
এর আগে ২৬ আগস্ট এপিবিএন সদস্য মো. আবদুল্লাহর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে আবদুল্লাহ জানান, ঘটনার দিন মনে হয়েছে পরিদর্শক লিয়াকত শিকারের জন্য হন্য হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপরের দিন এপিবিএনের বাকি দুই সদস্যও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) ওসি প্রদীপের জামিনের জন্য চট্টগ্রাম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী এহেছানুল হক হেনার নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি আইনজীবীর প্রতিনিধি দল কক্সবাজার আদালতে হাজির হয়ে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন এবং জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। এর একদিন পর মামলার প্রধান আসামি পরিদর্শক লিয়াকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। এখন পালা ওসি প্রদীপ ও নন্দদুলালের। তারা কবে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য আদালতে আসছেন সেদিকেই নজর সবার।
