Bangladesh

Rahman's family demand for punishment of those involved in 21 August Grenade attack

Rahman's family demand for punishment of those involved in 21 August Grenade attack

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Aug 2018, 06:26 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, আগস্ট ২৫ : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি জড়িতদের শাস্তির পাশাপাশি এর পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচনসহ তাদের শাস্তি চান ওই হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানের পরিবার।

আগামী মাসে বহুল আলোচিত এ মামলার রায় হওয়ার কথা। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৪ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভয়াবহ ওই গ্রেদনেড হামলায় আওয়ামী লীগের অন্তত ২১ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন কয়েকশ মানুষ।


বিশিষ্ট নারীনেত্রী আইভি রহমানের পুরো নাম বেগম জেবুন্নেছা আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের চন্ডিবের গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম হয়। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। আট বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে আইভি রহমান পঞ্চম ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। মহিলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তিনি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের পর থেকেই দক্ষতার সঙ্গে পালন করে এসেছেন। দুই দফায় ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও দুই মেয়ের মা।


রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও আইভি রহমান বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গেও পারিবারিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। আইভি রহমান সারা জীবন মাঠের রাজনীতি করেছেন। রাজনৈতিক সভামঞ্চে উঠে ভাষণ খুব কম দিয়েছেন। সহকর্মীদের সঙ্গে মঞ্চের নিচে বসে শুনতে ও স্লোগান দিতেই পছন্দ করতেন বেশি। অথচ সব সময় যেকোনও আসর জমজমাট করে রাখা প্রাণবন্ত মানুষটি গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার পর তার প্রিয় প্রাঙ্গণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে খোলা ট্রাকের পাশে পড়েছিলেন একা কিছুটা সময়। ব্যাপক হতাহত ও আতঙ্কের কারণে সবাই চারদিকে প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছিলেন। তখন স্থির হয়ে ছিল তার দু’চোখ।

 

পরনের কালো পাড়ের সাদা শাড়িটির বেশিরভাগ অংশই ছিল রক্তে ভেজা। কাপড়ের নিচের অংশ পুড়ে ছাই।

 

ডান পায়ের মাংসপেশি দলা হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ৫২ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু রক্তক্ষরণ ঠেকানো যায়নি। প্রায় চার দিন অচেতন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে যান তিনি।