Bangladesh
PM's announcement on quota to remain intact
অন্তত কোটা সংস্কার নিয়ে গঠিত কমিটির বৈঠকে তেমনটাই সুপািরশ করা হচ্ছে। সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দিয়ে সুপারিশ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রধান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যতদূর সম্ভব কোটা বাদ দিয়ে মেরিটে চলে যাওয়া। এখন আমাদের সময় এসেছে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়ার’।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস (তিন মাস) বাড়ানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোটা নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আমরা মেরিটকে (মেধা) প্রাধান্য দিয়ে কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করব।’ তিনি বলেন, ‘তবে কোর্টের একটা রায় রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। যদি খালি থাকে তবে খালি রাখতে হবে। এটার ব্যাপারে কোর্টের মতামত চাইব, কোর্ট যদি এটাকেও উঠিয়ে দেয় তবে কোটা থাকবে না। আর কোর্ট যদি রায় দেয় যে, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষিত রাখতে হবে তবে ওই অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে।
বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ এবং উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে।
এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।
