Bangladesh
PM Hasina, President Hamid to be present at Daksur
শনিবার দুপুরে ডাকসু ভবনে কার্যকর পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রথম সভা ছিল এটি। এতে পদাধিকারবলে ডাকসু সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানীসহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। একই সময় বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে হল সংসদের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রথম কার্যকরী পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বড় আকারের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকবেন। একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করার দায়িত্ব দিয়েছি কার্যকর পরিষদকে। ভিপি, জিএস, এজিএসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা বিভিন্ন কমিটি করে আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এটি আমাদের বড় দাগের আজকের সিদ্ধান্ত।’
ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। আমাদের সামগ্রিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা একটি অভিষেক অনুষ্ঠান করতে চাই। সেটা সম্ভবু দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে। সেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মানিত আচার্যকে দাওয়াত করা হবে।’
ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আপনারা জানেন যে, সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি থাকে, সেটা নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়েছে। ভিসি স্যার ডাকসুর ভিপি, জিএস এবং এজিএসকে দায়িত্ব দিয়েছেন এ পাঁচজনকে বাছাই করার জন্য।
তিনি বলেন, রিকশা এবং সাইকেলের জন্য আলাদা লেন করা, রিকশাভাড়া নির্ধারণ এবং বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ন্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০-৩৫০ রিকশার রেজিস্ট্রেশন দেয়া, তাদের নির্দিষ্ট ড্রেসকোড এবং গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সভায় প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সকল প্যানেলেরই দাবি ছিল হল থেকে গণরুম, গেস্টরুম এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় সিট দেয়া বন্ধ করা। সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এটা নিয়ে বিভিন্ন হলে নোটিশ দিয়ে অছাত্র এবং বহিরাগতদের হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ডাকসুর প্রথম সভা শেষে নবনির্বাচিত ডাকসু নেতারা ধানমন্ডি ৩২ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত শিখা চিরন্তনেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
