Bangladesh
PM Hasina greets nation on Eid-ul-Azha, urges people to contribute towards a peaceful Bangladesh
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক জানান । তিনি বলেন, ‘এবার আমরা এক সংকটময় সময়ে ঈদ-উল-আযহা উদযাপন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য্য পরীক্ষা করেন। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে। এই বিপদের সময় আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, ব্যাংকার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ যারা জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।
এই মহামারীতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যেন ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি যেন এই সংক্রমণ থেকে আমরা সবাই দ্রুত মুক্তি পাই’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষ্যে যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতিবছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোস্ত আত্মীয়স্বজন ও গরীব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষ-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। শান্তি সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ঈদ-উল-আযহা।
ঈদ-উল-আযহা’র এ দিনে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করেন।
