Bangladesh
PM Hasina directs teachers to be sent abroad for skill development
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে যে নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপনের প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হলো, তাতে তো শিক্ষক দিতে হবে। শিক্ষকের প্রকট অভাব আছে। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রয়োজন হলে শিক্ষকদের বিদেশে পাঠাও। কয়েকশ হলেও আমার আপত্তি নাই। যাক, তাড়াতাড়ি প্রশিক্ষণ নিয়ে আসুক।’
মন্ত্রী নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা, অনেক জায়গায় সরকারের স্থাপনা নির্মাণ করার পর দেখা যায়, লোক নাই, চেয়ার নাই, বেঞ্চ নাই, যন্ত্র নাই। এটা পরিহার করতেই হবে। এখানে (নতুন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রকল্পে) যেন এটা না হয়। ৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণ করছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, এটা নির্মাণ হতে হতে যেন যন্ত্রপাতি, চেয়ার-টেবিল, শিক্ষক যেন প্রস্তুত থাকে।’
আজকের একনেক সভায় ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ নামে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সরকার খরচ করবে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
একনেকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর অন্য নির্দেশনাগুলো তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিল্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে। প্রয়োজনে সিইটিপি (কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার) স্থাপন করতে হবে। আর জলাধার রাখো কাছে, যাতে আগুন লাগলে পানি দেয়া যায়। আগুন লাগলে অনেক সময় পানি পাওয়া যায় না। উন্নয়ন কাজের জন্য মাটি তো কাটতেই হয়। কাটা মাটিতেই একটা জলাধার হয়ে যাবে। অপরদিকে স্থপতিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো যে, আমাদের জলবায়ু, আবহাওয়ার যে বৈশিষ্ট্য, সেখানে আবদ্ধ ঘরে থাকা ঠিক নয়। একটু হাওয়া-টাওয়া চললে ভালো হবে’।
