Bangladesh
Over 3,00,000 people stranded in floods as incessant rains lash Bangladesh
এদিকে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলার ৫৬টি ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ধরলা নদীর পানির প্রবল চাপে আজ সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে একটি বিকল্প বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
গাইবান্ধা ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়াসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে। জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ২৬টি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের এক লাখ ৪৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে গত কয়েক বছরের মতো বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে ভয়াবহ বন্যা। তাই বন্যা আতঙ্কে জেলার সাত উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।
লালমনিরহাটে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। ব্যারেজটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত রোববার রাত ১১টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৩ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে রাত ১০টায় একই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আঙ্গরপোতা, সর্দারপাড়া ও কাতিপাড়ায় তিস্তার পানি প্রবেশ করে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। বালি পড়ে প্রায় ৩৫ একর ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
