Bangladesh
Nusrat verdict is a threat to those OC who feel themselves supreme
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায় বাংলাদেশের সব থানার ওসিদের জন্য একটা ‘অশনি সংকেত’।
বিভিন্ন থানায় বসে যে সব ওসিরা নিজেদের জমিদার মনে করেন, তাদের জন্য এ রায় ‘অশনি সংকেত’ হয়ে থাকবে। কেউ অপরাধ করলে তাকে বিচারের আওতায় আসতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারায় তাকে সাজা দেয়া হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর আমরা তা নিয়ে আপিল করব।’
অপরদিকে, ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক হোসেন বলেন, ‘রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এতে করে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় ঘোষণা করা হলো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। ২৬ ধারায় পাঁচ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত।
২৯ ধারায় তিন বছরের কারাদ- ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ২৭ মে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গত ১৫ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রত্যাহার হওয়া) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন ব্যারিস্টার সুমন।
আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
