Bangladesh
Nusrat Murder: Family members assemble close to court
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন।
নুসরাত হত্যা মামলার আসামি নুর উদ্দিনের মা রাহেলা বেগম বলেন, অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানবন্ধনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে আমার ছেলেকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়। মামলায় ৮৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তাদের মধ্যে কোনো সাক্ষী আমার ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়নি। পিবিআই তিন ঘণ্টা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তার স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এ মামলার সঙ্গে আমার ছেলে কোনোভাবেই জড়িত নয়। তিনি বলেন, আমরা অভাবি মানুষ। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমার ছেলেকে আমার কোলে ফিরে ফেতে চাই।
আরেক আসামি মো. শামীমের মা হোসনে আরা বেগম তার ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এ মামলায় শামীমকে ঘর থেকে ধরে এনে ফাঁসানো হয়েছে। কে ফাঁসিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা জানি না। নুসরাতের ঘটনার দিন আমার ছেলে আলিমের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পায়। এরপরও সে পরীক্ষায় অংশ নেয়। আমার ছেলে নিস্পাপ।
আবদুর রহিম শরীফের মা নুর নাহার কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার ছেলে কোনোভাবেই নুসরাত হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত নয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এ রায় মানি না। উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আমার ছেলেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়িয়ে আনবো।
আদালত প্রাঙ্গণে নুসরাত হত্যা মামলার আসামি জাবেদ হোসেনের ভাই জাহেদ হোসেন, এমরান হোসেন মামুনের বাবা এনামুল হক ও কামরুন নাহার মনির মায়ের সঙ্গেও কথা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে উচ্চ স্বরে কেঁদে কেঁদে তারা এ মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করেন।
