Bangladesh

Nusrat murder case: Verdict on Oct 24

Nusrat murder case: Verdict on Oct 24

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Oct 2019, 01:45 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১ : ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ২৪ অক্টোবর। দুপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে সোমবার রায়ের দিন নির্ধারণ করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, দুপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে রায়ের দিন ঠিক করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। আগামী ২৪ অক্টোবর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক।


পিপি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, গণ ২৭ জুন থেকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য শুরু হয়েছিল। ১২ কার্যদিবস ধরে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক চলে। গণ বৃহস্পতিবার আসামি পক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে। বিচারক রোববার রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তি খ-নের সুযোগ দিয়েছেন। সোমবার রায়ের দিন ঠিক করেন বিচারক। এর আগে নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।


অভিযোগপত্রের ১৬ জন হলেন- ১. সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, ২. নূর উদ্দিন, ৩. শাহাদাত হোসেন শামীম, ৪. সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, ৫. সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, ৬. জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, ৭. হাফেজ আব্দুল কাদের, ৮. আবছার উদ্দিন, ৯. কামরুন নাহার মনি, ১০. উম্মে সুলুানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, ১১. আব্দুর রহিম শরীফ, ১২. ইফতেখার উদ্দিন রানা, ১৩. ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, ১৪. মোহাম্মদ শামীম, ১৫. মাদরাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও ১৬. মহিউদ্দিন শাকিল। পাশাপাশি এ মামলা থেকে নূর হোসেন, আলা উদ্দিন, কেফায়েত উল্যাহ জনি, সাইদুল ও আরিফুল ইসলামকে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করে পিবিআই।


প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।