Bangladesh
Narayanganj Seven Murder: Judge gives his sign
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৮০০ পৃষ্ঠার রায় হয়েছে। এ রায়টি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বৃহস্পতিবার এই স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। তিনি বলেন, এ মামলায় রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতি তাদের স্বাক্ষর দিয়েছেন। তবে রায়ের পর্যবেক্ষণে কী আছে সেটি এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে গত বছরের ২২ আগস্ট রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট। রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন, র্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আল আমিনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদ-াদেশ দেন বিচারিক আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ৬টি মরদেহ। পর দিন মেলে আরেকটি মরদেহ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম,লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার এক দিন পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম।
