Bangladesh

Narayanganj: Court report on seven murder case released

Narayanganj: Court report on seven murder case released

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 20 Nov 2018, 05:03 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২০: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদ- বহাল রেখে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর সোমবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৫৬৪ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম মামলার রায়ে স্বাক্ষর করেন।


উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদ- বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। এছাড়া, নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের দ- বহাল রাখেন আদালত।

ত্যুদ-প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আল আমিন।


মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাদের যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে তারা হলেন সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নূর হোসেনের সহযোগী মুর্তজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, রহম আলী, আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন। গত বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদ-প্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। এর আগে ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদ- দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন— নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো.ইব্রাহিম।