Bangladesh
Myanmar team in Ukhiya: Rohingyas don't want to return without citizenship
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে করণীয় নির্ধারণে শনিবার উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে আসেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি। রোহিঙ্গারা কোনো ভিত্তি ছাড়া মিয়ানমারে ফিরতে রাজি না হওয়ায় শনিবারের দুই দফা বৈঠকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে যৌথ ডায়ালগ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও রোহিঙ্গারা। এ ডায়ালগে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা প্রতিনিধি ছাড়াও বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তবে কবে নাগাদ এ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হবে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা (আরআরআরসি) মো. আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রত্যাবাসন একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই হঠাৎ এটি সমাধান হবে এমন আশা করা দুরূহ। শনিবার বৈঠকে যৌথ ডায়ালগের কথা উঠে এসেছে। রোববারও (২৮ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে ফের বৈঠক হবে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল শনিবার বিমানযোগে সকাল ১০টায় কক্সবাজার পৌঁছেন।
বিমানবন্দরে প্রতিনিধি দলকে গ্রহণ করেন কক্সবাজার ত্রাণ প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম সরওয়ার কামালসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এরপর প্রতিনিধি দলটি বিমানবন্দর থেকে হোটেল রয়েল টিউলিপে যান। সেখান থেকে দেড়টার দিকে যান উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন তারা। সেখানে রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও রোহিঙ্গাদের ৩৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল ছিলেন। তাদের মধ্যে সাত নারী ও ২৮ পুরুষ রোহিঙ্গা ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেয়া রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকটি দু’দফায় চলে। আলোচনায় মিয়ানমার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে আহ্বান জানান। ফিরে গেলে সেখানে কী রকম সুযোগ-সুবিধা পাবেন সে সম্পর্কে ধারণা দেন মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা। এ সময় রোহিঙ্গাদের পক্ষে নাগরিকত্বসহ নানা দাবি উত্তাপন করা হয়।
বৈঠক চলাকালে বৈঠকস্থলের বাইরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ করেন রোহিঙ্গারা। বিক্ষোভে রোহিঙ্গারা বলেন, আমরা বাঙালি নই, আমরা রোহিঙ্গা। মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে আমাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা ফিরে যাব না। আমাদের মা-বোনদের যে নির্যাতন করা হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই। যারা আমাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরও বিচার করতে হবে।
