Bangladesh

Muktijoddha quota to be there: Hasina

Muktijoddha quota to be there: Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Jul 2018, 05:50 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ১৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের ছাড়া হবে না।

বৃহস্পতিবার সংসদে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা হবে। এই কোটা বহাল রাখতে হাই কোর্টের রায় রয়েছে।

 

সরকার চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল সংসদেই কোটা বাতিলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা, তাতে হাই কোর্টেও রায় রয়ে গেছে। যেখানে হাই কোর্টের রায় আছে যে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তাহলে আমরা কীভাবে কোর্টের ওই রায় ভায়োলেট করব?’


বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। কোটা ‘বাতিলে’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেবে।


কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলা হয়েছিল, ওই হামলার মামলায় আন্দোলনকারী কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মুক্তি দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হলেও এক্ষেত্রে কঠোর মনোভাব দেখান শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, যত আন্দোলনই হোক না কেন এদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ এরা লেখাপড়া শিখতে আসেনি।


সংসদে এদিনের অধিবেশনে কোটা আন্দোলনকারীদের সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

 

জবাবে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা বলেছেন ছেলেপুলে আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো, বাড়ি ভাংচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছে ভাংচুর এবং লুটপাট করা, আলমারি ভেঙে গহনাঘাটি, টাকাপয়সা সব কিছু লুটপাট করেছে। ভিসির পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছে। এটা কি কোনো শিক্ষার্থীর কাজ? এটা কি কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে? কথায় কথা বলে, ক্লাস করবে না, ক্লাসে তালা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত কারা হবে? আমরা সেশনজট দূর করেছি। এদের কারণে এখন আবার সেই সেশনজট।