Bangladesh
Mnister not ready to speak on Teesta deal issue
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানাডা সফর নিয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিস্তার খবর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
সাত বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় বহু প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় তা আটকে যায়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য তিস্তার পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দ্বিপক্ষীয় সব ফোরামেই ঢাকার পক্ষ থেকে নয়া দিল্লিকে ওই চুক্তির বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিস্তা চুক্তির আশা দিলেও মমতাকে তিনি রাজি করাতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরেও তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ বিভিন্ন আলোচনায় আসে। তবে মে মাসের শেষে নয়া দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, মমতাকে রাজি না করিয়ে তিস্তার জট ছাড়ানো সম্ভব না।
কিন্তু সোমবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনকের এক প্রতিবেদনে সরকার ও আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তার আলোচনায় ‘অগ্রগতি’ হয়েছে এবং পরীক্ষামূলকভাবে তিন বছরের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গ সফরকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে তিস্তার পানিবণ্টনে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে সম্মতি না দিলেও বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নেওয়া হয়। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেছেন। সেখানে সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিবেচনায় নিয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মত এসেছে। ফলে যে কোনো সময় তিস্তা নদীর পানিবণ্টনে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।
Image: Wikimedia Commons
