Bangladesh
Minister apologises by visiting Mim's house
দিয়ার বাবা-মাকে সান্তনা দেওয়ার পাশাপাশি শাজাহান খান বলেছেন, ‘আমি হেসে কথা বলেছি বলে আপনারা হয়ত কষ্ট পেয়েছেন। আমি অন্য একটি বিষয়ে কথা বলছিলাম, কিন্তু এ্যাক্সিডেন্টের বিষয়টিতে কথা হচ্ছে আমি জানতাম না। এর জন্য আমি দুঃখিত, আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেন।’
গত রোববার ঢাকার রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া ও আরেক শিক্ষার্থী আবদুল করিমের মৃত্যুর পর সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেশাজাহান খান হেসে অন্য দেশেও এমন দুর্ঘটনা ঘটার কথা বলেছিলেন। ওই হাসি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার তার ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন শাজাহান খান।
পরদিন যান দিয়ার বাসায়। দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলমও নৌমন্ত্রীর ওই হাসিতে ব্যথিত হয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর নিজেও একজন বাসচালক। তাদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হলেন শাজহান খান।
জাহাঙ্গীর নৌমন্ত্রীকে বলেন, ‘এটা এ্যাক্সিডেন্ট না, হত্যাকান্ড। ওরা আমার মেয়েটাকে ইচ্ছা করে হত্যা করেছে। ওরা অদক্ষ ড্রাইভার। অদক্ষ ড্রাইভারদের জন্য আজ দেশের এই অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন ড্রাইভার। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। যেই গাড়িগুলা চলছে, সেগুলোর লাইসেন্স আছে কি না, আপনারা দেখেন। অদক্ষ ড্রাইভাররা কত বাবা-মায়ের বুক খালি করছে, আপনারা দেখেন।’
গত রোববার ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় একটি বাসের নিচে চাপা পড়েছিলেন দিয়া ও করিম। ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফ্লাইওভারের কাছে শিক্ষার্থীরা বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন দুটি বাসের পাল্লা দেওয়ার মধ্যে একটি শিক্ষার্থীদের উপর উঠে যায়। জাহাঙ্গীর ফিটনেসবিহীন বিভিন্ন গাড়িকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেছেন নৌমন্ত্রীকে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ধীরগতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে কি না বা গতিরোধক আছে কি না, এ বিষয়গুলোও নজরে নেওয়ার অনুরোধও করেন তিনি।
