Bangladesh
Mass hearing n Sinha case starts
এলাকার ১২ জন ব্যক্তি শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য গ্রহণ শুরু করে তদন্তদল।
শুনানিতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মনোনীত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লে. কর্নেল সাজ্জাদ, চট্টগ্রামের ডিআইজি মনোনীত অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি উপস্থিত রয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের স্বাক্ষীদের অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে পুলিশের অযাচিত একটি মামলার পর আতংক ছড়ায় স্থানীয়দের মাঝে।
এরপর শংকা জেগেছিল সিনহা হত্যার বিষয় নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা কথা বলবেন কি না। গণশুনানিতে আসবেন কিনা তারা। কিন্তু শুনানির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরুর পর মেজর সিনহা হত্যার ঘটনা প্রত্যক্ষকারী এবং পরবর্তী ঘটনা দেখা অনেকে স্বপ্রণোদিত হয়ে কথা বলতে নিজের নাম রেজিস্ট্রেশন করেন।
তবে স্বেচ্ছায় আসাদের মাঝে পুলিশের সাজানো কোনো ব্যক্তি রয়েছে কিনা সেই শংকাও উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সচেতন ব্যক্তি। শুনানি গ্রহণকারীরা বক্তব্য শুনেই বুঝতে পারবেন কারা সাজানো এবং কারা বাস্তবিক ঘটনার প্রত্যক্ষকারী, এমনটিই অভিমত তার।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছিলেন, তদন্তের স্বার্থে মাঠ পর্যায়ে যেখানে যাওয়া প্রয়োজন হবে সেখানে যাওয়া হবে।
যার যার সঙ্গে কথা বলা দরকার তাদের সঙ্গে কথা বলব। দুঃখজনক ঘটনাটির নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করা হবে। এরই অংশ হিসেবে রোববার গণশুনানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে গণশুনানি স্থলে আসা শুরু করেন সবাই। বক্তব্য দিতে আগ্রহীরা নাম রেজিস্ট্রেশন বুথে যান।
গণশুনানি উপলক্ষে মেরনি ড্রাইভের শাপলাপুর এলাকা, ক্যাম্পস্থল এবং আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে সেনাবাহিনী ও অন্য শৃঙ্খলাবাহিনী।
বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীও উপস্থিত হয ঘটনাস্থলে। আশপাশে তাদের যাতায়াত অবাধ থাকলেও শুনানি কক্ষে গণমাধ্যমের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
