Bangladesh
Man travels from Kolkata to Bangladesh to pay tribute to Bhasha Shohids
কলকাতার ‘টাস অফ হ্যাভেন’ নামে একটি ক্লাবের সহযোগিতায় বুধবার বিকেলে কলকাতা পৌরসভার মুখ্য উপ-মহানাগরিক শ্রী অণীন ঘোষের হাত থেকে ভারতীয় জাতীয় পাকা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা ।
শুক্রবার দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছান ওই পাঁচ যুবক। পাসপোর্টের কার্যাদি সম্পন্ন করে দুপুর ২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। বাংলাদেশে আসা যুবকরা হলেন- দলনেতা যশঙ্ক মিদ্যা, সদস্য রাহুল সেন, সৈকত মন্ডল, রৌণক দত্ত ও নিমাই মন্ডল। এদের মধ্যে চারজন সাইকেলে ও নিমাই মন্ডল দৌড়ে ঢাকা যাবেন।
দলনেতা যশঙ্ক মিদ্যা বলেন, মোদের গর্ব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা। যে ভাষায় আমরা আত্মিক শান্তি পাই সেই ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শুধুমাত্র প্রকাশের মাধ্যম নয়। মাতৃভাষা এক শান্তির অনুভূতি, নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখার একটি উপায়। মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান। একই আকাশ একই বাতাস দুই বাংলার মানুষের ভাষা এক। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমাদের প্রাণ কাঁদে। তাই তো ছুটে এসেছি বাঙালি বাংলাভাষী মানুষের পাশে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন। স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। ভাষা আর স্বাধীনতার জন্য এণ ত্যাগের নজির পৃথিবীতে অন্য কারোর নেই। এ জন্য আপনারা গর্বিত জাতি।
যশঙ্ক মিদ্যা জানান, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের হাতে ভারতীয় পতাকা ও ক্লাবের স্মৃতি হিসেবে মেমেন্টো তুলে দেয়া হবে। এর উদ্দেশ্য দুই বাংলার মানুষের মধ্যে মৈত্রী বন্ধন সুদৃঢ় করা।
অপর সদস্য নিমাই মন্ডল বলেন, সাইকেল ও দৌড়কে বেছে নেয়া হয়েছে যাতে দুই বাংলার যত বেশি সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে আসা যায়। দুই বাংলার আচার-ব্যবহার, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান ঘটানো যায়। ঢাকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার কলকাতায় সাইকেল ও দৌড়ের মাধ্যমে ফিরে যাবেন বলে জানান তারা।
