Bangladesh
Kurigram hit by flood amid COVID-19 outbreak
জেলার দিন এনে দিন খাওয়া হাজার-হাজার মানুষের দিন কাটছে হাহাকার অবস্থায়। করোনা থেকে বাঁচবে নাকি বন্যা মোকাবিলা করবে এই ভেবে দিন কাটছে নিম্ন আয়ের মানুষজনের। কৃষি নির্ভরশীল এই জনপদে কলকারখানা না থাকায় সারা বছর কাজের সুযোগও কম। ফলে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে সেই জমানো অর্থ দিয়ে প্রতিবছরের বন্যা মোকাবিলা করে আসছে অভাবগ্রস্ত এই জেলার মানুষ।
বিগত বছরের বন্যার সময় নদ-নদীর তীরবর্তী মানুষজন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে দিনমজুরিসহ বিভিন্ন কাজ করে অর্থ আয় করে থাকেন। সেই টাকায় বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শুকনো খাবার কিনে রাখতেন। কিন্তু এবারের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন।
করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে কাজের সুযোগ ছিল না। এতে খেটে খাওয়া মানুষদের নিজ এলাকাতেই অবস্থান করতে হয়েছে কয়েক মাস।
করোনার সময় অনেকেই কৃষি শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালিয়ে, দিনমজুরি করে কিংবা সঞ্চয়কৃত এবং সরকারি সহায়তা দিয়ে আগের দিনগুলো কাটিয়েছেন।
করোনার দুর্যোগ কোনো রকমে কাটানোর চেষ্টা করলেও বন্যা এসে পড়ায় গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ সম্পদ নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বা উঁচু স্থানে। এসব সম্পদ নিয়ে গাদাগাদি করেই দিনরাত পার করতে হচ্ছে বানভাসীদের।
করোনার কারণে নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবন রক্ষা করবে নাকি সম্পদ রক্ষা করবে এই নিয়ে বিপাকে পড়েছে বানভাসীরা। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।
বন্যা কবলিত পরিবারগুলো হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আগাম বন্যা আসায় চরাঞ্চলে আবাদকৃত পাট, আউশ, সবজি, আমন বীজতলা, তিল, কাউনসহ ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ঋণ কিংবা সুদে ধারদেনা করে এসব ফসল ফলালেও বন্যার পানিতে সেগুলো এখন নষ্ট হওয়ার পথে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে দারিদ্র্যপীড়িত জেলায় দেখা দিতে পারে অভাব। ফলে এই জনপদের মানুষদের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারি-বেসরকারিভাবে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
