Bangladesh

Jamuna river witnesses breaking
Amirul Momenin

Jamuna river witnesses breaking

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 04 Jul 2020, 06:44 am
ঢাকা, জুলাই ৪ : গাইবান্ধায় বন্যার পানি কমতে থাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া বন্যায় গাইবান্ধা সদর উপজেলা, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের এক লাখ ২২ হাজার ৩২০ জন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়। হুমকির মুখে রয়েছে পাশের দুই শতাধিক বসতবাড়ি।

অনেকেই ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। জেলায় ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে তিস্তা, যমুনা, কাটাখালী ও করতোয়া নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।


গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল করিম। চার বার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বসতি গড়েছেন গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ গজ উত্তরে গোবিন্দপুর গ্রামে । নেই জমা-জমি। কষ্টের সংসারে বাড়ির জায়গাই ছিল শেষ সম্বল। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তাই ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছেন।


নদী ভাঙনের শিকার আব্দুল করিম কাঁদতে কাঁদতে জাগো নিউজকে বলেন, সরকারের কাছে ত্রাণ বা সাহায্য চাই না। আমরা চাই নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান।


সাঘাটার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, আমি এই বিদ্যালয় ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা করি।

এখানকার শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করায় বিদ্যালয়টি চার বার উপজেলার সেরা স্কুল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে। এখন বিদ্যালয়টি যমুনা নদীগর্ভে যাওয়ায় আমি হতাশ। দ্রুত সরকারিভাবে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে এই এলাকার দুই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে যাবে।


অপরদিকে বন্যায় গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে, কেউ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন।


জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলা, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের এক লাখ ২২ হাজার ৩২০ জন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের মধ্যে বিতরণের জন্য চার উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১১ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্য হিসেবে আরও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।