Bangladesh
India will remember for life what it has been given: Hasina
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতকে যেটা দিয়েছি তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে।প্রতিদিনের বোমাবাজি গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।’ আজ বুধবার বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা ‘বাংলাদেশ ভারতের কাছে প্রতিদান চায়’ শীর্ষক প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ‘আপনি কোন প্রতিদান চেয়েছেন কিনা? চাইলে কোনও আশ্বাস পেয়েছেন কিনা? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কোনও প্রতিদান চাই না। প্রতিদানের কী আছে? আর কারও কাছে পাওয়ার অভ্যাস আমার কম। দেওয়ার অভ্যাস বেশি।’
ভারতের আশ্বাসের ওপর ভরসা করে বাংলাদেশ বসে নেই.
শেখ হাসিনা আরো বলেন, তিস্তার পানি চুক্তির জন্য ভারতের আশ্বাসের ওপর ভরসা করে বাংলাদেশ বসে নেই। ‘আমি কোনও কিছুতেই কারও ওপরই ভরসা করে চলি না। আমার দেশের পানির ব্যবস্থা কীভাবে করতে হবে— সেটা আমি করে যাচ্ছি। নদী ড্রেজিং করছি, জলাধার তৈরি, পুকুর খনন করছি। পানি যাতে ধরে রাখা যায়, সেই ব্যবস্থা করছি।
তিস্তা াচুক্তি প্রসঙ্গে ভারতের আশ্বাসের বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা কথা দিয়েছে। এজন্য অপেক্ষা করেন। আর তাদের পানি না দিয়ে কি আমাদের চলবে না? আমরা নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করছি। পানির সমস্যা যাতে নিজেরা সমাধান করতে পারি, সেই ব্যবস্থা করছি।’
এ সময় পানি সমস্যার সমাধানে বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা তিনি তুলে ধরেন। ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে বক্স কালবার্ড ভেঙে খাল করে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা এবং তার ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনার কথাও বলেন।
তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, তারা মমতার বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে চিন্তা করছে। এই বিকল্প প্রস্তাবটি কী, আমরা জানি কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব কথা এখন জানার তো দরকার নেই। আর এটা তাদের অভ্যন্তরীণ প্রস্তাব। তারা বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে। তাদের প্রস্তাব তাদের ওখানে থাকতে দেন। দরকার হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন।’ এবারের সফরে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি গিয়েছিলাম বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করতে, কাজেই সেটার ওপর জোর দিয়েছি। তিস্তার বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন আছে। তারা আলোচনা করছে।’
উল্লেখ্য, দুদিনের ভারত সফর শেষে গত শনিবার (২৬ মে) রাতে দেশে ফেরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত শুক্রবার (২৫ মে) তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেন।
সফরকালে তিনি বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন তারা।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
দেশে ফেরার আগে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
