Bangladesh
India and Sheikh Hasina
শনিবার দিল্লীতে দশম জাগরন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়।
ভারত সরকারের অন্যতম মাল্টি-অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স সিরি ফোর্ট অডিটোরিয়ামে ১ ঘন্টা ১০ মিনিটে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শনের সময় হলটিতে পিন পতন স্তব্ধতা বিরাজ করছিল। হলে বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিল। প্রামাণ্যচিত্রটিতে শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার ঘটনা বর্ণনাকালে অনেক দর্শকের চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। ঘটনার নির্মমতা ও সেই সময়ে অসহায় দুই বোনের কষ্ট দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করে। সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস এ কথা জানায়।
পপলু খান পরিচালিত প্রামাণ্য চিত্রটিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাঁদের সেই সময়ের কষ্ট ও সংগ্রামের কথা বর্ণনা করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক অধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর দুই মেয়েকে অবর্তনীয় কষ্ট ও কঠোর বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়।
হাইড্রো-কার্বন অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞ গৌতম সেন বলেন, ‘এই প্রামান্যচিত্রটি আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। এটি দেখে বাংলাদেশের ইতিহাস বিশেষত কত নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল এবং এরপর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল আমি তা জানতে পারলাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে কতটা কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, তাঁরা কতটা বিরূপ পরিস্থিতির পার করেছেন এবং কিভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তা দেখে আমি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। তারা এই শোক কাটিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন, তা ভেবে আমি অবাক হয়ে যাই।’
তিনি বলেন, এই প্রামাণ্যচিত্রটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে করে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ের সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে জানতে পারে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।
এই উৎসবের অন্যতম আয়োজক আহুল কাঠুরিয়া বলেন, প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা: এ ডটার’স টেল’ ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এ জন্য আমরা উৎসব চলাকালে লক্ষেèৗসহ বিভিন্ন স্থানে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
