Bangladesh
Increase in Teesta water leaves country tensed
গত তিন দিনে নীলফামারীর ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ সেন্টিমিটার।
এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এই পয়েন্টে নতুনভাবে বিপদসীমার পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২.৬০ মিটার।
রোববার তিস্তা নদীর প্রবাহ বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধির কারণে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এদিকে পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার চরবেষ্টিত বিভিন্ন গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
তিস্তা অববাহিকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি মানেই উজানে ভারী বৃষ্টি ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ২০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা সকাল ৯টায় আরও ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়।
তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পরিবেষ্টিত টেপাখাড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, নাউতারা, জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারীসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের বসবাসরত পরিবারগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সূত্র মতে, উজানে গজলডোবা ব্যারেজ নির্মাণের ফলে তিস্তা নদীর প্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। ফলে উজানের সামান্য ঢলেই তিস্তা নদী বিপদসীমা অতিক্রম করে থাকে। অথচ নদীর চর ডোবে না।
তাই তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সর্বপ্রথম বিপদসীমার পরিমাপ (গেজ রিডার) ছিল ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। যা ২০০৭ সালে পরিবর্তন করে ৫২ দশমিক ৪০ মিটার বৃদ্ধি করা হয়।
এরপরও উজানের পানিতে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা বারবার বিপদসীমা অতিক্রম করতে থাকে। পরে ২০১৭ সালে ভারতের গজলডোবার জলকপাট উম্মুক্ত করে দেয়াসহ ভারী বর্ষণে উজানের ঢলে ৯৮ বছরের মধ্যে পলিতে ভরাট তিস্তা অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়।
সে সময় নদীর পানি বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটারের অতিক্রম করে ৫৩ দশমিক ০৫ মিটার অর্থাৎ ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তাই তিস্তা নদীর বিপদসীমা পরিমাপ সংখ্যাটি দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তন করে বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবে এবার পরিমাপের সংখ্যা করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।
