Bangladesh
Hasina expresses grief over death of two students
কিন্তু, এ দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় হেসে হেসে কথা বলায় সারাদেশে যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে তাতে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রীও।
দুর্ঘটনার দু’দিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এক নিহত শিক্ষার্থীর বাসায় সমবেদনা জানাতে পাঠানোর পাশাপাশি নৌমন্ত্রীকে ডেকে সংযত হয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়ে শ্লেষের সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোথায় কখন হাসতে হয় তাও জানেন না?’ সোমবার মন্ত্রিষভার বৈঠক শেষে শাজাহান খানকে ডেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কালশি ফ্লাইওভারের অদূরে র্যাডিসন হোটেলের উল্টোদিকে সিএমএইচ স্টপেজে দাঁড়ানো অবস্থায় দ্রুতগামী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও ১০/১২ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় দায়ী বাসচালক ও সহকারীর বিচার ও সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পরপর তিনদিন মহাসড়কে নেমে এলে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় আর সবার মতো মর্মাহত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনি মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে নিহত দিয়া খানমের বাসায় পাঠিয়ে তার পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং এই ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির বিষয়ে পরিবারটিকে আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি হেসে হেসে এ বিষয়ে দায়ীদের শাস্তির কথা জানানোর পাশাপাশি এ দুর্ঘটনার সঙ্গে ভারতের মহারাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হওয়ার তুলনা করেন।
পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকদের নেতা হিসেবে নৌ-মন্ত্রীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বাসের চালক ও হেলপাররা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাজাহান খান হেসে হেসে বলেন, ‘আজকের বিষয়ের সঙ্গে এটি রিলেটেড নয়। মহারাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন নিহত হলেও কোনও হৈ চৈ হয় না। অথচ বাংলাদেশে সামান্য কিছুতেই হৈ চৈ হয়।’
