Bangladesh
Government working to ensure equal development: PM Sheikh Hasina
তিনি বলেন,‘যখন আমরা উন্নয়নের কথা বলি তখন জাতি, ধর্ম বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথাই বলি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতিত)’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৫শ’ শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখানে কাউকে এটা মনে করলে চলবে না যে, আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বা আমরা অবহেলিত ।’ ‘সকলকে ভাবতে হবে, এই দেশের নাগরিক সবাই এবং প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধর্ম,বর্ণ, জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার থাকবে এবং আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য এবং দেশটা আমাদের সকলের এই কথাটা মনে রেখে যার যার ক্ষেত্রে সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে ৫শ’ শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যম-িত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বৃত্তি দেয়া হয়।
এরমধ্যে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন। আগামী বছর থেকে এই বৃত্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা ২ হাজারে উন্নীত করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট ফান্ডের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাঁর সরকার বৃত্তি দিচ্ছে এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সাধারণ জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে সাধারণ বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে প্রায় দুই কোটি ৪ লাখ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাচ্ছে এবং বিভিন্ন ট্রেডে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নিজস্ব পেশাকে ধরে রেখে এর সাথে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৮৭ হাজার। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং ১৫ লাখ সমতলে বসবাস করেন উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘বৈচিত্রের মাঝেই ঐক্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম বৈশিষ্ট্য। এই যে নানা মানুষ, নানান ধর্ম, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস- সবকিছু মিলে যে বৈচিত্র এটা কম দেশেই পরিলক্ষিত হয়’।
