Bangladesh
Government developing Banlgadesh Army
শেখ হাসিনা বলেন, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদস্যরা ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই গার্ডস এর লক্ষ্য’ এ মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে আজ পর্যন্ত সাহস, আন্তরিকতা, পেশাগণ দক্ষতা, সুতা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমের শপথে বলীয়ান হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসামান্য দূরদর্শিতায় রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এ রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। আজ এ গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অণ্যন্ত প্রশংসনীয়।
পিজিআরসহ বিভিন্ন বাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে তখনই একে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ
গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পেশাগত প্রয়োজনে পিজিআর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিন সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে তিনি তাদেরকে তার পরিবারের সদস্য হিসেবেও মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী এর আগে পিজিআর সদরদপ্তরে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম তাকে স্বাগণ জানান।
পিজিআরের একটি সুসজ্জিত দল এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী পিজিআরের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী পিজিআরের বীর সদস্যদের পরিবারবর্গের মাঝে অনুদান এবং উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিরপত্তা প্রদান করবে, তাদের নিরাপত্তার কথাটাও আমাদের ভাবতে হয়, চিন্তা করতে হয়। তিনি বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশ গড়ে উঠেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি সম্মানজনক অবস্থানে তার জায়গা করে নেবে, আমরা সবসময় সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী একটি জাতি। কাজেই জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারের আমরা মাথা উঁচু করে চলতে চাই এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে চাই।
তিনি এ সময় পিজিআরের বিভিন্ন সময়ে শহিদ ও শাহাদাৎ বরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান।
