Bangladesh
FM's fight won't solve certain issue
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করুন : ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করুন’ শীর্ষক বৈঠকে উপস্থাপিত প্রবন্ধে এ কথা বলা হয়। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মইনুল ইসলাম। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন।
সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি আবু নাসের বখতিয়ার, অধ্যাপক আবু সাঈদ, বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রবন্ধে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, তিনি আর খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়তে দেবেন না। অতএব, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট চাল প্রয়োগ করে তিনি মন্দ ঋণ রাইট-অফ করার পদ্ধতি সহজ করে দিয়েছেন, যাতে ক্লাসিফাইড লোনের এ শিথিল পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন ব্যাংক ‘মন্দ ঋণ রাইট-অফ করা’ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। রাইট-অফ করা মন্দ ঋণ বাড়ার মানেই হলো এর ফলে ক্লাসিফাইড লোন ওই পরিমাণ কম দেখানো যাবে। তিনি মন্দ ঋণ আদায়ের জন্যে খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে দুই শতাংশ ঋণ প্রাথমিক কিস্তিতে পরিশোধ করে যে দশ বছরের সময় দেয়ার ব্যবস্থা করলেন, সে সুবিধা নিয়মনিষ্ঠ ঋণ ফেরতদাতারা পান না। কিন্তু, এ-ধরনের পরিবর্তন খেলাপি ঋণ সমস্যাটিকে আড়াল করার পন্থা হলেও মন্দ ঋণ আদায় করার কোনো নিষ্ঠাবান প্রয়াসের মাধ্যমে জোরদার করার লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো একজন ‘ব্যবসায়ী অর্থমন্ত্রী’ তার ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী বন্ধুদের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত দরদ দেখিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বিগত ২০১৪-১৯ মেয়াদের সরকারের সময়েও খেলাপি ঋণের অবস্থা সংকটজনক থাকা সত্ত্বেও কোনো রহস্যজনক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠনের ইস্যুটাকে বারবার এড়িয়ে গেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের সবচেয়ে বড় সমস্যা নিঃসন্দেহে খেলাপি ঋণ। এ ঋণ আদায়ের জন্য বিদ্যমান বিচার প্রক্রিয়া বাংলাদেশে খুবই অকার্যকর এবং দীর্ঘসূত্রতা-সাপেক্ষ। এখন সুপ্রতিষ্ঠিত যে, এ দেশের রাজনীতি ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি কালচারকে’ লালন করে চলেছে। তাই, সংশোধনও শুরু করতে হবে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে। এজন্য জরুরি প্রয়োজন হলো তিন বছরের জন্য একটি খেলাপিঋণ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যেক ব্যাংকের শীর্ষ দশ ঋণখেলাপিকে চূড়ান্ত বিচারে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা।
