Bangladesh

Flood hits parts of Bangladesh
Amirul Momenin

Flood hits parts of Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 12 Jul 2020, 06:17 am
ঢাকা, জুলাই ১২ : লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলায় তিস্তা তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পরিবারগুলোর মাঝে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাপাড়ের হাজারও মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।

শনিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার। সকাল ৯টায় ২৪ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ২০ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হয়। ব্যারেজটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।


এদিকে ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ী পয়েন্টে এক রাতেই ৬৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ৩০ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার এবং শনিবার সকাল ৯টায় ৩০ দশমিক ৯৮ মিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।


তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, কালীগঞ্জ উপজেলার চর বৈরাতী, ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সিদুর্ণা, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ধুবনী, ডাউয়াবাড়ি এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে এসব এলাকার চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে বহু কাঁচাপাকা সড়ক।


জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা কমে গিয়ে বন্যার উন্নতি ঘটে। কিন্তু এক সপ্তাহে না যেতেই ফের উজানের ঢল ও ভারীবর্ষণের কারণে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার থেকে বর্তমানে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।


এদিকে শনিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় ১০ জেলা বন্যাকবলিত হতে পারে। জেলাগুলো হচ্ছে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।