Bangladesh
EU makes special advice on fire protection
শুক্রবার ঢাকায় ইউরোপীয় মিশনগুলোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মস্থলের নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এবং বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৩ সাল থেকে ইইউ সরকারের সঙ্গে কাজ করে আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে বাংলাদেশের অনান্য শিল্প খাত এবং আবাসন খাতেও বাংলাদেশ সরকারের একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
বনানীর ২২ তলা ওই ভবনে বৃহস্পতিবার ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৭০ জনের বেশি মানুষ। ভবনটি নির্মাণে ইমারত বিধি মানা হয়নি এবং সেখানে অগ্নি নির্বাপণের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না বলে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের কথায় উঠে এসেছে।
২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন এবং ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক কর্মীর মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ এবং শ্রমিকদের স্বল্প মজুরির বিষয়টি নতুন করে সামনে চলে আসে। সে সময় তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতা কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ, যা সংক্ষেপে অ্যাকর্ড হিসেবে পরিচিতি পায়। তেমনি আমেরিকার ক্রেতাদের নিয়ে আরেকটি জোট হয়, তার নাম হয় ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি ইনিশিয়েটিভ’, যা অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত পায়। বাংলাদেশে পোশাক কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন ও সংস্কার কাজ তদারক করে ওই দুই জোট।
ইউরোপীয় মিশনগুলোর বিবৃতিতে ওই ভবনের নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
