Bangladesh
Ershad's party on the verge of collapsing
এরপর দুদিন আগে তাকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করে তা অনুমোদনের জন্য স্পীকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরদিন পার্টির একটি গ্রুপ রুশন এরশাদকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচনের জন্য একটি পত্র দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার একধাপ এগিয়ে রওশন এরশাদকে পার্টির চেয়ার ম্যানও ঘোষণা করা হয়। এই অবস্থায় জাতীয় পার্টি দৃশ্যত: দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা দিলেন সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, ‘পার্টিতে কী হচ্ছে? জাতীয় পার্টি কি আবার ভাঙতে যাচ্ছে? অতীতে কিন্তু জাপা ভেঙেছে। আসুন সবাই মিলে পার্টিটাকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করি।’ প্রকাশ্যে তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার কথা বললেও আপন দেবর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন।
মুলত: এরশাদের মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া আসনে প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ। রওশন এরশাদ চান তার পুত্র শাদ এরশাদ রংপুর আসনে প্রার্থী হোক। অপরদিকে জি এম কাদের মাদকে পছন্দ করেন না। কাদেও শাদকে প্রর্থী করবে না জেনেই রওশন পাল্টা জাতীয় পার্টির সংসদীয় বোর্ড সভা ডেকেছেন। আগামী রোববার দুপুর ১টায় বিরোধীদলীয় উপনেতার দফতরে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে রওশনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করাকে নিয়মবহির্ভূত হিসেবে উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
আপাতত: দৃষ্টিতে জি এম কাদেরকে শক্তিশালী ও বৈধ বলে মনে হলেও শেশ হাসি কে হাসবে তা নির্ভর করছে শাসক দলের ওপর। তারা যাকে চাইবেন তিনিই হবেন সংসদে বিরোধী দলের নেতা।
