Bangladesh
Ershad buried in Rongpur
গণঅভ্যুত্থানে পতিত সামরিক শাসক এরশাদ ৯০ বছর বয়সে গত রোববার মারা যাওয়ার পর তাকে ঢাকার বনানীতে সেনা কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু শুরু থেকেই রংপুরে দাফনের দাবি জানাচ্ছিলেন জাতীয় পার্টির জেলার নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে লাশ জানাজার জন্য রংপুরে নেওয়ার পর দলীয় সিদ্ধান্তে বাদ সাধেন তারা।
অনেক নাটকীয়তার পর দুপুরে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে এরশাদের কফিন ঢাকায় ফিরিয়ে না এনে নিয়ে যাওয়া হয় এরশাদের বাড়ি পল্লীনিবাসে।
জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে তখন বলা হয়, রংপুরের গণমানুষের আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতাবোধে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরেই দাফন করতে অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ এমপি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরের পাশে বেগম রওশন এরশাদের জন্য কবরের জন্য জায়গা রাখতেও অনুরোধ
এরশাদের কফিন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের ঈদগাহ মাঠে নেওয়ার পর জানাজার আগে বক্তৃতায় রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা যুক্তি দেন, বনানীর সেনা কবরস্থানে এরশাদকে দাফন করা হলে পরে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সহজে সেখানে যেতে পারবেন না, শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন না।
জানাজার পরপরই রংপুরের নেতাকর্মীরা এরশাদের মরদেহবাহী গাড়ি ঘিরে ফেলেন এবং রংপুরে দাফনের দাবিতে স্লোগান ধরেন। এই পরিস্থিতিতে জি এম কাদের বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের দাফন রংপুরেই হবে।
এই সিদ্ধান্তের পর সেনাবাহিনীর একটি দল পল্লীনিবাসের পাশে এরশাদের বাবার নামে গড়া মকবুল হোসেন জেনারেল অ্যান্ড ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন লিচুবাগানে কবরের স্থানটি পরিদর্শন করেন।
পল্লী নিবাসে পৌঁছার পর এরশাদের দাফন প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। রংপুর সেনানিবাসের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল প্রথমে গার্ড অব অনার দেয়। এরপর সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সাবেক সেনাপ্রধানের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল পৌনে ৬টায় এরশাদকে শুইয়ে দেওয়া হয় কবরে।
