Bangladesh
EC won't 'take side' of anybody
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বেঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভা প্রসঙ্গে বিএনপির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা যেন বিধির বাইরে কোনো রকম আচরণ করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা থাকবে।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের দুই দিন আগে কমিশনকে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের মুজিববর্ষের সভা করা উচিত হয়নি। সেখানে নির্বাচন নিয়ে যদি কিছু না
বলে তাতে নির্বাচনের কোড অব কনডাক্ট ভায়োলেট হবে কি-না তা আলাদাভাবে বলা নেই।
তবে আমি মনে করি, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সভাটা তাদের না করাই উচিত ছিল। আর করার দরকার হলে আমাদের অনুমতি বা পরামর্শ নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটি নেননি, আমরা জানিই না।’
সিইসি বলেন, যেকোনো সময়ের চেয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। প্রার্থীরা তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।
কোনো বাধা দেখি না। আমাদের কাছে ধরপাকড়ের তথ্য নেই। কোনো ক্রিমিনাল, সন্ত্রাস, বোমাবাজ যদি এখানে আসে তাদেরকে তো পুলিশ নজরদারিতে রাখবে এবং ধরবেই।
কোনো বাসাবাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে না। অন্যান্য জায়গায় যদি বাইরে থেকে এসে থাকে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি নিষ্প্রয়োজনে কেউ যেন ঢাকায় না আসে।
আবার বলেছি ভোটকেন্দ্রের চারপাশে যেন নিষ্প্রয়োজনীয় কোনো জটলা না থাকে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। ভোট দিয়ে যেন ভোট কেন্দ্রে কেউ না থাকে এটা আমরা চাচ্ছি।
কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে দেখা করেছে, কেউ মাতব্বরী করছে বলে মনে হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমনটি মনে হয়নি। তারা আমাদের আবস্থান জানতে চেয়েছে, আমরা তাদের বুঝিয়েছি তারা সন্তুষ্ট হয়ে এখান থেকে চলে গেছে। আমাদের প্রস্তুতিতে তারা খুশি এ কথা বলেছে। ভোটকে কেন্দ্র করে ঢাকায় বহিরাগতদের প্রবেশের কোনো তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।
