Bangladesh

E-passport: 2 thousand appeals made in three days
Amirul Momenin

E-passport: 2 thousand appeals made in three days

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 27 Jan 2020, 07:58 am
ঢাকা, জানুয়ারি ২৬ : ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের তিন দিনের মধ্যেই অনলাইনে আবেদন করেছেন দুই হাজার মানুষ। ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের পর্যায়ক্রমে ১২-১৫ দিন পর বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেয়ার পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের পরের তিন দিন অর্থাৎ ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি এই দুই হাজার আবেদন জমা পড়ে।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোর্টে মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে যেগুলো সংগ্রহ করা এমআরপি থেকেও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যাচাই করে দেখা গেছে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহে ১৫ মিনিট করে সময় লাগবে। সেই হিসাবে কার্যঘণ্টা ও বুথ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ নির্ধারণ করছে ই-পাসপোর্টের অনলাইন সফটওয়্যার।


একজন আবেদনকারী আবেদনের ১২-১৫ দিন পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাচ্ছেন। বায়োমেট্রিক দেয়ার পর থেকে তার আবেদনের নির্ধারিত (৩ দিন, ৭ দিন, ২১ দিন) দিনক্ষণ গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে অধিদফতর। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ ই-পাসপোর্ট আবেদনকারী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১২-১৫ দিন বিলম্বে পাসপোর্ট পাবেন।


বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে আবেদনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি অনলাইনে। দ্বিতীয় ধাপের জন্য আবেদনকারীকে অধিদফতরে আসতে হবে। অনেকেই এই বিষয়টি না জেনে এবং অনলাইনে আবেদন না করে অধিদফতরে এসে ই-পাসপোর্টের জন্য ছোটাছুটি করছেন। ই-পাসপোর্টের বুথগুলোতে লাইন নেই বলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তবে আমরা অনেকের কাছেই আমাদের মেসেজ স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ইতোমধ্যে তিন দিনে অনলাইনে দুই হাজার ই-পাসপোর্টের আবেদন পাওয়া গেছে।


এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। পরদিন ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, সচিবালয় ও ক্যান্টনমেন্টে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।


অত্যাধুনিক এই ই-পাসপোর্টে একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর (মোবাইলের মেমোরি কার্ডের মতো) চিপ থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ) তথ্যসহ মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। পৃথিবীর ১১৯টি দেশের নাগরিকরা ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। ই-পাসপোর্টের বই দেখতে অনেকটা চলমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মতোই হবে।