Bangladesh

Dissatisfaction over women terrorist

Dissatisfaction over women terrorist

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Jun 2018, 11:23 pm
ঢাকা, জুন ১৪: গ্রেফতারের আড়াই মাসের মধ্যে জামিনে পেলো নব্য জেএমবির সিস্টার উইংয়ের সাবেক প্রধান নারী জঙ্গি হুমায়ারা ওরফে নাবিলা। যাকে সংগঠনে ‘ব্যাট উইমেন’ বলে ডাকা হতো। সে নব্য জেএমবির আরেক শীর্ষ জঙ্গি তানভির ইয়াসিন করিমের স্ত্রী। তানভীর এখনও কারাবন্দি। গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সে জামিন পায়।

বুধবার কাশিমপুর কারাগারে নাবিলার জামিনের কাগজ গেছে। এই ঘটনায় বিশেষ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি অনেক অনুসন্ধানের পর ধৃত জঙ্গিরা জামিনে বেরিয়ে গেলে জঙ্গি দমন কঠিন হয়ে পড়বে।

 

গত বছরের ১৫ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বোমা হামলা চালিয়ে মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষকে হত্যার যে পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা, সেই ঘটনার অর্থেও জোগানদাতা ছিল হুমায়ারা ও তার স্বামী তানভীর। পুলিশি তৎপরতায় হামলায় ব্যর্থ হয়ে সাইফুল নামে এক জঙ্গি  পান্থপথের ‘হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় গত  ৫ এপ্রিল রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় হুমায়ারা ওরফে নাবিলাকে।

 

ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, হুমায়ারা তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। তারা নিয়মিত গুলশান এলাকায় হালাকা (একসঙ্গে মিলিত হয়ে সাংগঠনিক আলোচনা করা) করতো। ঢাকার নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করা হুমায়ারা ওরফে নাবিলা মালয়েশিয়ার লিংকন ইন ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করে। সেখানেই তার সঙ্গে নব্য জেএমবির সর্বশেষ আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আকরাম হোসেন নিলয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা ঢাকায় ফিরে নব্য জেএমবির সিস্টার উইং নামে একটি শাখা গঠন করে।

 

সিটিটিসি সূত্র বলছে, সাংগঠনিক পরিচয়ে বিয়ের পর স্বামী তানভীরসহ একযোগে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে পড়ে। স্বামী তানভীরকে গত বছরের ১৯ নভেম্বর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর থেকে আত্মগোপনে থেকে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল হুমায়ারা ওরফে নাবিলা। গ্রেফতারের পর কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল হুমায়ারা ওরফে নাবিলাকে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে সবকিছু স্বীকার করলেও আদালতে গিয়ে বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়নি।

 

সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, এভাবে শীর্ষ ও দুর্ধর্ষ জঙ্গিরা একের পর এক জামিনে বেরিয়ে গেলে জঙ্গিবাদ কার্যক্রম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। গত কয়েক মাসে এমন অনেক জঙ্গি জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। এমনকি সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের হয়ে জিহাদ করতে বাংলাদেশে যারা তরুণ যোদ্ধা সংগ্রহ করতো, তাদের মূল হোতা ব্রিটিশ জঙ্গি সামিউন রহমানও গত বছর জামিনে বেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে ধরা পড়ে।