Bangladesh

Dacoit arrested in Bangladesh
Amirul Momenin

Dacoit arrested in Bangladesh

Bangladsh Live News | @banglalivenews | 15 Jun 2020, 08:01 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ৮ : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গত ৭ জুন রোববার ডাকাতির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ওইদিন তারা একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিকদের বেতনের জন্য নিয়ে যাওয়া ৮২ লাখ ১২ হাজার টাকা দিনে দুপুরে লুট করে। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ওই পোশাক কারখনার এক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম রাজীব চন্দ্র মজুমদার। তিনি ওই পোশাক কারখানার মার্চেন্ডাইজার।


র‌্যাব শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সর্দারসহ পাঁচ ডকাতকে গ্যেফতার করে। গ্রফতাররা হলো- রিয়াজ (৩৬), সাগর মাহমুদ (৪০), জলিল (৪০), ইসমাইল হোসেন মামুন (৪৫) ও মনোরঞ্জন মন্ডল বাবু (৪১)।


র‌্যাব জানায়, তাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, ১ হাজার ১০০ ইউএস ডলার, ১টি প্রিমিও ব্র্যান্ডের প্রাইভেটকার, ৩টি মোটরসাইকেল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২১ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২টি ম্যাগজিন, ৩টি পাসপোর্ট এবং ৩৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতাররা সবাই পেশাদার অপরাধী। সবারই বিরুদ্ধে অপরাধ সংশ্লিষ্ট একাধিক মামলা রয়েছে।


রোববার (১৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম। তিনি জানান, প্রায় ৪-৫ মাস আগে চক্রটির মূল হোতা জলিল গার্মেন্টসের টাকা ডাকাতির পরিকল্পনা করেন।

 

এ জন্য তথ্য সংগ্রহে নিয়োগ দেন ইসমাইল হোসেন এবং মনোরঞ্জন মন্ডলকে। তারা অনেকগুলো গার্মেন্টসের তথ্য দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ শেষে ইনক্রেডিবল গার্মেন্টসের টাকা লুটের জন্য টার্গেট নির্ধারণে পরামর্শ দেন। তাদের পর্যবেক্ষণ, ওই ইনক্রেডিবল গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন ক্যাশে প্রদান করা হয় এবং ব্যাংক থেকে টাকা সংগ্রহের সময় কোনো অস্ত্রধারী নিরাপত্তা প্রহরী থাকে না।


অবশেষে জুনের বেতন সংগ্রহের সময় পুলিশ স্কট থাকবে না বলে নিশ্চিত হওয়ার পর ৭ জুন ডাকাতির দিন নির্ধারণ করে তারা।

ঘটনার প্রায় ১২-১৫ দিন আগে ইসমাইল, জলিল এবং মনোরঞ্জন মাঠপর্যায়ে রেকি (লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ ও আক্রমণপূর্ব পর্যবেক্ষণ) করে ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক বিভিন্ন স্থান নির্বাচন করেন।