Bangladesh
Corruption needs to be reduced to ensure all round development: Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী দুর্ণীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমরা এত খেটে, সারাদিন এত কাজের পরে যদি দুর্নীতির কারণে সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায় সেটা হবে খুব দু:খজনক। এটা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।’ তিনি এ বিষযে সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়ারও আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘যে ঘুষ নেবে সে-ই কেবল অপরাধী নয়, যে ঘুষ দেবে সেও অপরাধী। কাজেই দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।’
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা দলিল। একইভাবে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ সংযুক্ত দপ্তর/সংস্থাসমূহের সঙ্গে এবং দপ্তর/সংস্থাসমূহের প্রধানগণ মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর ঐ বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রথম বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ প্রবর্তন করা হয়। এবার ৬ষ্ঠ বছরের মুত এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষগুলি তাঁদেরকে সকল নাগরিক সুবিধাটা আমরা দিতে চাই। যাতে করে তাদেরকে কাজ খোঁজার জন্য আর গ্রাম থেকে শহরে আসতে না হয়। নিজের গ্রামেই সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা তারা পেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অভিনন্দন জানান।
