Bangladesh
Chittagong City Polls: Jamaat not to support BNP
একাদশ নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোটে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বর্তমান সরকারের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তবে সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি বিএনপি এবং তাঁর পর থেকেই সম্পর্কে ছিঁড় ধরেছে দুই রাজনৈতিক গোষ্ঠীর।
এই ফাটল আরও পরিষ্কার হচ্ছে যখন দেখা যাচ্ছে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র কিংবা কাউন্সিলর প্রার্থী কাউকেই সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে জামায়াত।
বিএনপি বলছে, দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছেন। তবে শরিক দল জামায়াত একাদশ নির্বাচনের পর থেকে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি, নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছে মানবকণ্ঠ।
জামায়াতের নেতাদের ঢাকার দুই সিটি নিবার্চন ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনেও বিএনপিএর প্রার্থীদের সমরথনে প্রচার করতে দেখা যায়নি।
চসিক নির্বাচনেও এমন চিত্র থাকবে নাকি ব্যতিক্রম কিছু হবে তা নিয়ে সাধারণ মহলে চলছে আলোচনা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চসিক নির্বাচনে নগর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য কৌশলগত কারণে নিজেদের শক্তি প্রয়োগ করবে না জামায়াত। এমনকি কোনো নির্বাচনি প্রচারেও দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন না, মানবকণ্ঠ জানিয়েছে।
চসিক নির্বাচনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য ও মহানগরের নায়েবে আমীর শাহাজাহান চৌধুরী মানবকণ্ঠকে বলেন, একাদশ নির্বাচনের পর থেকে ২০ দলীয় জোটে নীতিগত সিন্ধান্ত হয়েছিল বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসেও একই সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলেই চসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের পাশে থাকবে না জামায়াত।
অন্যদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম মানবকণ্ঠকে বলেন, চসিক নির্বাচন নিয়ে ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। শিগগিরই সিটি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর বলতে পারবো জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে।
