Bangladesh

Cabinet clears important draft related to Chittagong land

Cabinet clears important draft related to Chittagong land

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 Jan 2019, 03:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ২২: নবগঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহণ) রেগুলেশন (সংশোধন) আইন-২০১৯’র খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

 বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের ভূমির অধিগ্রহণে সমতলের জনগণের সঙ্গে সমতা বিধানের জন্য যে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছিল সেটাকেই আইন আকারে আনা হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে নবগঠিত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। শফিউল আলম বলেন, ভুমি অধিগ্রহণের ক্ষতি পূরণের ব্যাপারে আগে সমতল এবং পাহাড় এদুটির মধ্যে একটা ব্যবধান ছিল। সেখানে পাহাড়ের ভূমি অধিগ্রহণে ১৫ শতাংশ এবং সমতলের ভূমি অধিগ্রহণে ৩শ’ শতাংশ প্রদান করা হত। এই বৈষম্য হ্রাস করার লক্ষ্যেই সরকার গত মেয়াদের শেষ পর্যায়ে উভয়ের জন্যই ৩শ’ শতাংশ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশটি জারি করেছিল। সেটিকেও এখন আইনে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এদিনের বৈঠকে আরো ৫টি এজেন্ডা আলোচনায় স্থান পায়।


শফিউল আলম জানান, বৈঠকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৮ কে আইনে পরিণত করার জন্য এর খসড়া অনুমোদন এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।


তিনি বলেন, ‘বৈঠকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৮কে আগেই মন্ত্রিসভায় পাশ করা হয়েছিল কিন্তু সংসদে উপস্থাপনের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকায় এটিকে আইনে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন ২০১৮’র খসড়া অনুমোদন সম্পর্কে তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ পরিষদ ১৯৫৬ সাল থেকেই চলছে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে। পরে ১৯৭২ সাল থেকে এটা আবার পুনর্গঠিত হওয়ার পর থেকেই সরকারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চলছিল, এখানে কোন আইন ছিল না। সেখানে এটি যে গতানুগতিক ধারায় অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় এটি চলছিল তাকেই আইনে রূপ দেয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, এর ৭ ধারায় একটি পরিচালনা বোর্ডের কথা বলা হয়েছে। এখানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি বা বোর্ড থাকবে। তিনি সভাপতি হবেন আর মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকলে সহ-সভাপতি এবং সমাজকল্যাণ সচিব সদস্য সচিব হবেন। ৮৪ জন বিশেষায়িত সদস্য থাকবেন।


মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। শোক প্রস্তাবে বলা হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন বীর মুত্তিযোদ্ধা এবং আদর্শবান রাজনীবিদকে হারালো।