Bangladesh
Bangladeshis forced to go to Italy from Libya
এদের ৭৯ দশমিক ৩ শতাংশ সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকলেও তারা এতে ভয় পায় না। এমনটাই উঠে এসেছে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ)-এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণাটি পরিচালনা করে। বাংলাদেশ থেকে ইতালির অনিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওকাপ। ইতালির চারটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এবং বাংলাদেশের একটি উপজেলা ও তিনটি গ্রামে ২৭৯ জন অভিবাসী এবং ৯২টি পরিবারের মধ্যে এ সংক্রান্ত সমীক্ষা চালানো হয়।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভূমধ্যসাগর ব্যবহার করে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে এই মাত্রা আরও তীব্র হয়। এমনকি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০১৭ সালের হিসাবে প্রথম ভাগে অবস্থান করে। বাংলাদেশ থেকে ইতালির পথে যাত্রার প্রেক্ষাপট, রুট, অভিবাসীদের আচরণসহ নানা দিক নিয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।
এতে বলা হয়, কাজের উদ্দেশ্যে ৮১ শতাংশ বাংলাদেশি অভিবাসী লিবিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও তাদের জোরপূর্বক সমুদ্রপথে ইতালি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ অভিবাসীকে সুদান অথবা মিসরে কাজের জন্য নেওয়া হলেও তাদেরকে লিবিয়া উপকূল দিয়ে ইতালি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে এবং ১৬ শতাংশের বয়স ১৮ এর নিচে। ৯০ শতাংশের শিক্ষাগত কোনও যোগ্যতা নেই। এছাড়া নানা রকম সামাজিক সমস্যা, আর্থিক অসচ্ছলতা, ঋণ সবকিছু মিলিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে লিবিয়া উপকূল দিয়ে ইতালিতে পাচার হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এদের মধ্যে ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ অভিবাসী ভূমধ্যসাগরের কেন্দ্রস্থলের পথটি ব্যবহার করে লিবিয়া উপকূল হয়ে ইতালি যায়।
গবেষণায় বলা হয়, ইতালিতে অভিবাসনের পুরো প্রক্রিয়া লিবিয়ার সিন্ডিকেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যারা স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং পুলিশ প্রাসনের সঙ্গে আঁতাত করে চলে। ৭৯ দশমিক ৭ শতাংশ অভিবাসীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। যাওয়ার পথে ১ দশমিক ৪ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হন।
