Bangladesh

Bangladesh Transport sector to witness massive change

Bangladesh Transport sector to witness massive change

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 30 Jan 2019, 05:55 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ৩০: সড়ক-নৌ-রেল ও বিমান যোগাযোগে সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে নতুন সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।


এম এ মান্নান বলেন, ‘একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী আলাপচারিতায় ও কথাবার্তায় কিছু কিছু অনুশাসন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রেল, সড়ক, পানি ও বিমান এগুলোকে আমরা সমন্বিত করব। জাতীয় গ্রিড হবে, সমন্বিত গ্রিড হবে। এগুলোর জন্য আমরা সমন্বয়ে বিভিন্ন কাজ করব। প্রধানন্ত্রী বলেছেন, সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই হবে।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘উদাহরণ দিয়ে বলি, এমন সময় আসবে চট্টগ্রামের টিকিট কিনবেন, সেই টিকিটে ট্রেনে ঢাকায় এসে, একই টিকিটে স্টিমারে করে বরিশালে যেতে পারবেন। এটা সম্ভব। বিদেশিরাও তাই করে। এ রুটগুলো সমন্বয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এক টিকিটে বাস, ট্রেন ও স্টিমার তিনটাতে ঘোরাফেরা করা যায়। আমাদের এখানে করা সম্ভব। অসম্ভব কিছু নয়।’


মন্ত্রী বলেন, রেলের মিটার গেজগুলো ব্রড গেজে রূপান্তরেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের কিছু কিছু স্থাপনা আছে, উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামের পাহাড়পুরে। ব্রিটিশ আমলে স্থাপন করা হয়েছিল। এগুলো বছরের পর বছর প্রশংসার সঙ্গে কাজ করেছে। এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা, যাতে অদূর ভবিষ্যতে আমরা আমাদের রেলের এসব পার্টস ও অন্যান্য জিনিস আর কিনব না, নিজেরাই ওয়ার্কশপে তৈরি করব। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন।


মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের যে বিশাল সম্প্রসারণ হয়েছে, এর রাজনৈতিক লাভ আমরা পাচ্ছি। নির্বাচনের সময় আমরা বিদ্যুতের বিষয়টি জনগণের সামনে বেশি উপস্থাপন করেছি। এজন্য গ্রামের মহিলারা ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের ভোট দিয়েছেন। আমার এলাকা হাওর অঞ্চলে, সেখানে বিশাল বিশাল খুঁটি পোতা হয়েছে, এজন্য আমি গর্বিত।’
একনেক সভায় ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ)’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আট হাজার ৬৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।