Bangladesh

Bangladesh to buy Covid-19 vaccine on priority
Screengrab from YouTube

Bangladesh to buy Covid-19 vaccine on priority

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Aug 2020, 11:24 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ আগস্ট ২০২০ : করোনা মহামারি থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন কিনতে চায় সরকার। এজন্য সরকারের অর্থ, স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোরালোভাবে কাজ করছে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিতে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশে মাথাপিছু আয় কম হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে মোট জনগণের ২০ শতাংশের জন্য ফ্রি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তবে, সেক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। তাই দ্রুত ভ্যাকসিন পেতে কেনার দিকেই আগ্রহী সরকার। আর আমাদের সবার কাছে এ ভ্যাকসিন পৌঁছাতে আনুমানিক কত টাকা খরচ হতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে জানতে পেরেছি প্রায় আট হাজার কোটি টাকা লাগতে পারে।’

 

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম ৪০ ডলার হতে পারে বলে শুনেছিলাম। তবে পরে আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পারলাম ভ্যাকসিন কিনতে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। তবে ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে সেখানে সঠিক নিয়মে কার্যকরী ভ্যাকসিনটা যেন কেনা হয় সে শর্তাবলি দেয়া হবে’।

 

করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে জানতে চাইলে ২৪ আগস্ট সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যেখানে দ্রুত ও সাশ্রয়ী মূল্যে কার্যকর ভ্যাকসিন বা টিকা পাওয়া যাবে সেখান থেকেই সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ভ্যাকসিন উৎপাদনের অ্যাডভান্স স্টেজে চলে গেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, চায়নার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও রাশিয়া অ্যাডভান্স স্টেজে আছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজা এবং মডার্না অ্যাডভান্স স্টেজে আছে’।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গত জুলাই মাসে এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, যখন তারা ভ্যাকসিন পাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে তারা ২০ শতাংশ পর্যন্ত ফ্রি দিতে পারবে। এমন আশ্বাস তাদের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি’।

 

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদনে এগিয়ে আছে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা জানিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীই নেবেন। যখন সময় হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত পেয়ে যাব। সিদ্ধান্ত পেলেই জানাতে পারব’।