Bangladesh

Bangladesh: No farm land will be misused to create factory

Bangladesh: No farm land will be misused to create factory

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Nov 2019, 12:39 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৭ : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষক ও জমি বাঁচাতে হবে। কৃষি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্প-কলকারখানা করা যাবে না। এছাড়া নিজেদের চাহিদা পূরণ করে কৃষিপণ্য যেন বিদেশে রফতানি করতে পারি সে ব্যবস্থা করতে হবে। বুধবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করে আমরা উন্নত হবো, শিল্পায়ন করবো। কৃষকদের বাদ দিয়ে কৃষিকে বাদ দিয়ে নয়। দেশের উন্নয়নে কৃষকদের আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। তিনি বলেন, দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন ৮২ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। কৃষকের চেষ্টা এবং কৃষি গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। এ অবদান কৃষকের।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কৃষকের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ কারার চিন্তা করছি। এতে খাদ্য উৎপাদন আরেও বাড়বে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

এ সময় সম্মেলন মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে তাকে অভিবাদন জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

 

এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। কৃষক লীগের প্রকাশনা মোড়ক উম্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেতো বঙ্গবন্ধু মরে নাই’, ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, শেখ হাসিনার নির্দেশ’, গান পরিবেশিত হয়।


কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সম্মেলন পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা। সম্মেলনে সাংগঠনিক রিপোর্টও পেশ করেন রেজা। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন নাজমুল ইসলাম মানু। মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।


সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সর্বভারতীয় কৃষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক অণতল কুমার অঞ্জন। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। তিন বছর কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় আট বছর। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোও বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে।


এমন অবস্থায় জাতীয় সম্মেলন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কৃষক লীগে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবাধ প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়।