Bangladesh
Bangladesh in list of men-women difference in earning
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এটাকে অনেক ভালো পরিস্থিতি হিসেবেই দেখা যায়। পুরো বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই লিঙ্গভিত্তিক পারিশ্রমিকের ব্যবধান সবচেয়ে কম।
গত ১৬ জানুয়ারি জাতিসংঘের ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনা ২০২০’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, পার্ট-টাইম/ফুল-টাইম চাকরি, সরকারি/বেসরকারি চাকরি প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এই জরিপ চালানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘণ্টা হিসেবে একই কাজে পুরুষদের তুলনায় বাংলাদেশের নারীরা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি পারিশ্রমিক পান, যা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসের মতো উচ্চ-আয়ের দেশের চেয়েও বেশি।
প্রতিবেদনটিতে ৬৪ দেশে নারী-পুরুষের মাসিক ও প্রতি ঘণ্টার আয়ের পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০২৮-১৯ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বিশ্ব পারিশ্রমিক প্রতিবেদনের সঙ্গে তুলনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বিষয়েও বলা হয়েছে। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে পাঁচ নম্বরেই রয়েছে লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন।
দক্ষিণ এশিয়া
নারী-পুরুষের পারিশ্রমিকে ঘণ্টা আর মাসিক উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় ব্যবধান পাকিস্তানে। দেশটির নারীরা প্রতি ঘণ্টায় পুরুষদের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ কম পারিশ্রমিক পান। আর একই কাজ করেও মাসিক আয়ে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে পিছিয়ে নারীরা। পাকিস্তানে মাসিক আয়ের ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক পারিশ্রমিক ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ। খারাপ অবস্থার দিক দিয়ে পাকিস্তানের পরেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই জরিপে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ছাড়াও নির্বাচিত ছিল দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। শ্রীলঙ্কায় লিঙ্গভিত্তিক পারিশ্রমিক ব্যবধান বেশ চড়া, সেক্ষেত্রে নেপালের অবস্থান যথেষ্ট ভালো। তবে একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই ব্যবধান বিশ্বের গড় ব্যবধানের চেয়ে বেশি।
আইএলওর সংজ্ঞা অনুসারে, একজন ব্যক্তির নিয়মিত মজুরি, বোনাস, উপহার, বার্ষিক ছুটি, অসুস্থতাজনিত ছুটি, অর্জিত ছুটি সবকিছু মিলিয়ে মোট সম্মানী হিসাব করে আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
