Bangladesh
Bangladesh hit by massive flood
বৃহস্পতিবারও বন্যার পানিতে একের পর এক ব্রিজ, কালভার্ট ও পাকা রাস্তা ভাঙছে।
গণ কয়েক দিনে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সবগুলো বাঁধ ভেঙে প্লাবিু হয়েছে জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। জেলা প্রশাসক ও জেলা দায়রা জজের বাসভবনের সামনেও হাঁটু পানি। গাইবান্ধা পৌরসভার প্রায় সবগুলো ওয়ার্ড ২ থেকে ৩ ফুট বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। ট্রেন চলাচলও বন্ধ। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পঙেছে জেলার পানিবন্দি ৫ লক্ষাধিক মানুষ।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ফুলছড়ির ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাঘিু হচ্ছে। তবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাঘিু হচ্ছে।
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন সব থেকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গবাদিপশু নিয়ে। গবাদিপশুর থাকা এবং খাবার চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া সংকট সৃষ্টি হয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির। চরাঞ্চল ও নদীবেষ্টিত চারটি উপজেলার বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ২৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার তিনটি ও সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ৩৫টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৮।
পানির চাপে সদর উপজেলার বাদিয়াখালীতে রেললাইন ধসে পানির নিতে নিমজ্জিত হওয়ায় সান্তাহার, লালমনিরহাট, রংপুর রেলপথে গাইবান্ধার ওপর দিয়ে সব ট্রেন চলাচল দুদিন থেকে বন্ধ। তবে সান্তাহার থেকে গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের বিভিন্ন লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। গণ ২৪ ঘণ্টায় সাঘাটা উপজেলার অর্ধশত গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাঘাটা উপজেলার সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে বগুড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাকা সড়কসহ কয়েকটি কালভার্ট ধসে বিভিন্ন উপজেলায় পানি প্রবেশ করছে ।
