Bangladesh
Awami League says it wants BNP in next election
অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডসহ প্রায় ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্য দেশের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত দেশে না থাকায়, তিনিও বৈঠকে ছিলেন না। তবে তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা ও মাদকবিরোধী অভিযান, তথ্য অধিকার আইন ও আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে জানতে চান কূটনীতিকরা। নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, না পৃথক হবে তাও জানতে চেয়েছেন তারা। জবাবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ‘আমাদের একটি জোট হলো আদর্শিক জোট, ১৪ দলীয় জোট। অন্যটি ভোটের জোট। সেটি জাতীয় পার্টিও সঙ্গে। আদর্শিক জোট থাকবে। জাতীয় পার্টিও সঙ্গে জোট থাকবে কিনা, সে সম্পর্কে এখনই বলা যাবে না।
মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এটা নিয়মিত অভিযান। দুই হাজারের মতো মাদক ব্যবসায়ীকে আটক-গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণের বিষয় জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, এখানে সব দলই অংশ নেবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব, এখানে সরকারের কিছুই করার নেই। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীনদের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।
এ সময় নির্বাচনি সহিংসতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিন্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেই নির্বাচনে কেবল সহিংসতা হয়।’ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সহিংসতা তুলে ধরেন। এ সময় বিএনপি যে একটি দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী সংগঠন তার পক্ষে দালিলিক তথ্য-উপাত্ত কূটনীতিকদের হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
ক্যাপশান : কূটনীতিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময় সভা ছবি: পিএমও
